
মঙ্গলবার ০৬ মে ২০২৫
অতীশ সেন, ডুয়ার্স: নাকা চেকিংয়ের সময় বিজেপি নেতার গাড়ি থেকে লক্ষাধিক টাকা উদ্ধার হল। শনিবার রাতে মাল মহকুমার বিজেপি কনভেনর রাকেশ নন্দীর গাড়ি থেকে ৭ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ। পরবর্তীতে বিজেপির জেলা সভানেত্রী দীপা বনিকের কাছ থেকে আরও ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা আটক করে পুলিশ। নির্বাচনবিধি চলাকালীন ৫০ হাজার টাকার বেশি বহন করলে সেই টাকার উৎস সম্পর্কিত প্রমান দেখাতে হয়। টাকার উৎস সম্পর্কিত বৈধ প্রমান বিজেপি নেতারা দেখাতে না পারায় মোট ৯ লক্ষ ৫ হাজার টাকা আটক করা হয়েছে বলে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
শনিবার রাতে জলপাইগুড়ি জেলার ক্রান্তি আউট পোস্টের পুলিশ লাটাগুড়ি সংলগ্ন ক্রান্তি মসজিদ এলাকায় জাতীয় সড়কে নাকা চেকিং চালাচ্ছিল। জলপাইগুড়ির দিক থেকে মালবাজারের দিকে যাওয়া একটি ছোট গাড়িতে তল্লাশি চালানোর সময় গাড়ি থেকে ৭ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা উদ্ধার হয়৷ গাড়ির চালক মাল বিধানসভার বিজেপি কনভেনর রাকেশ নন্দী জানান, বিজেপির দলীয় ফান্ডের থেকে পাওয়া এই টাকা তিনি রাজনৈতিক কাজের জন্য নিয়ে যাচ্ছিলেন। জলপাইগুড়ি জেলার মহিলা বিজেপি সভানেত্রী দীপা বনিক তাকে এই টাকা দিয়েছেন বলে রাকেশ নন্দী পুলিশকে জানান। পরে পুলিশ দীপা বনিকের কাছ থেকে আরও ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা বাজেয়াপ্ত করে। লোকসভা ভোটের মুখে বিজেপি নেতাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা উদ্ধারের ঘটনায় গোটা এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভানেত্রী মহুয়া গোপ বলেন, বিজেপির কোনও জনসংযোগ নেই, ভোটের সময় টাকা দিয়ে ভোট কেনাটাই ওদের স্বভাব। জনসমক্ষে বহুদিন ধরে তারা এই কথা বলে আসছেন, লোকসভা ভোটের মুখে বিজেপি নেতাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা উদ্ধারের ঘটনা তার উদাহরণ। টাকা দিয়ে ভোট কেনার জন্যই বিজেপি নেতারা ওইদিন রাতের অন্ধকারে ওই বিপুল পরিমাণ টাকা নিয়ে যাচ্ছিলেন বলে তিনি অভিযোগ করেন।
জলপাইগুড়ি জেলার পুলিশ সুপার উমেশ গণপত খান্ডেবহাল জানান "মডেল কোড অফ অনডাক্ট" অনুযায়ী নির্বাচনের সময় কোনও ব্যক্তি যদি নগদ ৫০ হাজারের বেশি টাকা সঙ্গে বহন করেন তাহলে সেই টাকার উৎস সম্পর্কে তাকে প্রয়োজনীয় প্রমাণপত্র দেখাতে হয়। কিন্তু ওইদিন রাতেই তারা কেউই সেরকম কিছু দেখাতে না পারায় সি.আর.পি.সি"র ১০২ ধারা অনুসারে টাকাগুলি বাজেয়াপ্ত করে মামলা রজু করা হয়েছে।